পেয়ারা খাওয়ার গুনাগুন ও উপকারিতা

পেয়ারা কে না পছন্দ করে। ছেলে থেকে বুড়ো সবাই পেয়ারা খেতে পছন্দ করে। পেয়ারা এটি আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় ফল। এটি বারো মাসই দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়।

 পেয়ারার স্বাদও অতুলনীয়। তবে শুধু স্বাদেই সেরা নয়, এটাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও পুষ্টিগুন। পুষ্টিগুন বিচার করে একে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা যায়।

এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও লাইকোপেন—যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি।
 পেয়ারা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারি।

ডায়বেটিস রোগীদের জন্য উপকারিতা কি?


পেয়ারা শুধু যে ডায়বেটিসের জন্য উপকারী তা নয় বরং এটি একজন সুস্থ লোকের জন্যেও প্রয়োজনীয়। তো সেগুলো একটু  দেখে নিই।

১/ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,
২/ চোখের জন্য  ভালো,
৩/ পেটের জন্য উপকারী আর ক্যানসার প্রতিরোধী।
৪/ নিয়মিত পেয়ারা খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। কারণ পেয়ারায় যে আঁশ আছে, তা শরীরে চিনি শোষণ কমাতে পারে।

এছাড়া পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন- C, যা শরীরে গেলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে।

পেয়ারা খাওয়ার গুনাগুন ও উপকারিতা

যেহেতু পেয়ারায় ভিটামিন ‘এ’ ও আছে ফলে  চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে রাতকানা রোগ থেকে বাঁচায়।
পেয়ারার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর ফলে ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে পারে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে অনেকাংশে।

পেয়ারার আছে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা।
এথেকে বুঝা যায় পেয়ার আসলো কতটা উপকারি পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ ফল।
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন -C, যা কমলালেবুর চেয়েও কয়েক গুণ বেশি।

পেয়ারায় আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। এতে আছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ফলিক এসিড ও নিকোট্রিন অ্যাসিড৷

যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের জন্যেও বেশ উপকারি, কারন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেয়ারা বেশ কাজ দেয়। এছাড়া পেয়ারা রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখে এবং কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পেয়ারা খেতে পারেন৷

পেয়ারা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং এই ফলের রস সর্দি-কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশয়সহ পেটের অসুখ সারাতে পারে।

অ্যাজমা, স্কার্ভি, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ক্যানসার ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও পেয়ারা বেশ উপকারী৷

তাই সবদিক বিবেচনা করে দেখা যায় পেয়ারার পুষ্টি গুন আপেল, কমলা থেকে কোনো অংশে কম নয় বরং বেশি।