আলু পটলের খোসা বাটা।

আমার সবজি রান্না করতে গিয়ে প্রায়ই একটি জিনিস ভুল করি। কি ভুল করি সেটাতে একটু পরে আসছি। তার আগে বলুন আলু এবং পটল কে কে পছন্দ করেন। আমি ধরে নিচ্ছি সাবারই মুটামুটি পছন্দ।

 তা না হলে এখান থেকেই পালিয়ে জেতেন। কারন আপনারা নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন এই দুটি সংমিশ্রনে একটি ফাটাফাটি রেসিপি নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য।
তবে আজকে  আলু কিংবা পটল না এদের খোসা দিয়ে তৈর করা হয়েছে একটি মুখরোচক খাদ্য। তাই প্রথমেই বলেছিলাম, আমরা রান্নার সময় ভুল করি। কারন এই সব উছিষ্ট জিনিস দিয়েও হয়ে যেতে পারে সকালের একটি পারফেট নাস্তা।

তো আর কথা না বাড়িয়ে আমাদের রেসিপিটি ঝটপট দেখে নিই।
আলু পটলের খোসা বাটা তৈরিতে যে উপকরন গুলো লাগবে। এগুলো একটি পরিমান দেখানো হয়েছে। বেশি পরিমানে করতে অনুপাত ঠিক রেখে করে ফেলবেন।

ঝটপট তৈরি করুন আলু পটলের খোসা বাটা।


উপকরন সমূহ:-

১/ ৬-৭ টি পটলের খোসা।
২/ ৫-৬ টি আলুর খোসা।
৩/ খোসা ছাড়ানো চিংড়ি মাছ ১০০ গ্রাম।
৪/ পিঁয়াজ কুচি ১ বাটি।
৫/ সরিষার তেল।
৬/ লবন পরিমান মতো।
৭/ সরিষা।
৮/ জিরা গুড়া ১ চা চামচ।
৯/ পানি পরিমান মতো।
১০/ কাঁচা মরিচ ৫-৬ টি

প্রস্তুত প্রনালী:-

প্রথমে আলু ও পটলের খোসা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এবার ফ্রাই পেনে খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে দিন। তেল গরম হলে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।

পেঁয়াজ কুচি একটু লালচে হয়ে আসলে গোটা জিরে ছেড়ে দিন। এবার একটু আস্তে করে নাড়ুন। এর পর খোসা ছাড়ানো চিংড়ি গুলো দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন যতক্ষন না চিংড়ি গুলো ভালো করে ভাজা হয়।

এবার এর ভেতর খোসা গুলো দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার জিরা গুড়া, লবন স্বাদ মতন দিয়ে দিন। আরেকটু নাড়ুন দেখুন খোসাগুলো একটু ভাজা হয়ে এসেছে। এবার একটু পানি দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন।

যাতে করে খোসা গুলো ভালো করে সেদ্ধ হয়ে যায়। এরপর এগুলো নামিয়ে ফেলুন। এবার বাটনার ওপর সেদ্ধ খোসা গুলো রেখে এর সাথে ৫-৬ টি কাঁচা মরিচ, ১ চা চামচ সরিষা সামান্য একটু লবন দিয়ে ভালো করে বেটে নিন, যতক্ষন পর্যন্ত ভালো করে পেস্টের মতো না হয়।

এবার একটি পাত্রে তুলে এর উপর সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। আর এরই সাথে তৈরি হয়ে গেল মুকরোচক আলু পটলের খোসা বাটা। আর সকালের নাস্তায় পরিবেশন করুন স্বাস্থ্য-সম্মত একটি সুস্বাদু খাবার।